ইবরানী 3

ঈসা মসীহ্‌হযরত মূসা (আঃ)-এর চেয়েও মহান

1সেইজন্য পবিত্র ভাইয়েরা, তোমরা যারা বেহেশতের অধিকারী হবার জন্য তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছ, তোমরা ঈসার বিষয়ে মনোযোগী হও। যাঁর উপর আমরা ঈমান এনেছি তিনিই আল্লাহ্‌র সেই পাঠানো বান্দা এবং সেই মহা-ইমাম। 2আল্লাহ্‌র পরিবারের লোকদের দেখাশোনার কাজে মূসা যেমন বিশ্বস্ত ছিলেন তেমনি ঈসাকে যিনি নিযুক্ত করেছিলেন সেই আল্লাহ্‌র কাছে তিনিও বিশ্বস্ত ছিলেন। 3যে লোক ঘর তৈরী করে সে যেমন সেই ঘরের চেয়ে বেশী সম্মান লাভ করে, সেই অনুসারে আল্লাহ্‌ঈসাকে মূসার চেয়ে আরও বেশী গৌরব পাবার অধিকারী বলে মনে করলেন। 4প্রত্যকটা ঘর কেউ না কেউ তৈরী করে থাকে, কিন্তু আল্লাহ্‌ই সব কিছু তৈরী করেছেন। 5সত্যিই মূসা আল্লাহ্‌র পরিবারে সেবাকারী হিসাবে বিশ্বস্ত ছিলেন, যেন ভবিষ্যতে যা বলা হবে তার সম্বন্ধে তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেন। 6কিন্তু মসীহ্‌সেই পরিবারের ভার-পাওয়া পুত্র হিসাবে বিশ্বস্ত ছিলেন। আমাদের নিশ্চিত আশার ফলে মনে যে সাহস ও আনন্দ আসে, তাতে যদি আমরা শেষ পর্যন্ত স্থির থাকি তবে দেখা যাবে যে, আমরাই আল্লাহ্‌র পরিবারের লোক।

বেঈমানীর বিষয়ে সতর্ক করা

7সেইজন্য পাক-রূহ্‌বলেছিলেন,

“আহা, আজ যদি তোমরা তাঁর কথায় কান দাও!
8তিনি বলছেন, তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত
তোমাদের দিল তোমরা কঠিন কোরো না।
তারা মরুভূমির মধ্যে বিদ্রোহী হয়ে আমার পরীক্ষা করেছিল।
9তোমাদের পূর্বপুরুষেরা সেখানে আমাকে যাচাই করেছিল,
আর চল্লিশ বছর ধরে সেই সময়কার লোকেরা
আমার কাজ দেখেছিল।
10আমি তাদের উপর খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম,
‘এই লোকদের দিল বিপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে;
তারা আমার পথ জানল না।’
11সেইজন্য আমি রাগে কসম খেয়ে বলেছিলাম,
‘আমার দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় তারা যেতে পারবে না।’ ”

12ভাইয়েরা, সাবধান! তোমাদের মধ্যে কারও মন যেন খারাপ ও অ-ঈমানদার না হয়। এই রকম মন জীবন্ত আল্লাহ্‌র কাছ থেকে দূরে সরে যায়। 13এর চেয়ে যতদিন পাক-কিতাবের “আজ” কথাটা বলা যায়, তার প্রত্যেক দিনই তোমরা একে অন্যকে উৎসাহ দাও, যাতে তোমাদের কারও মন গুনাহের ছলনায় পড়ে কঠিন না হয়; 14কারণ প্রথমে যে নিশ্চয়তা আমাদের ছিল, যদি আমরা তাতে শেষ পর্যন্ত স্থির থাকি তবে দেখা যাবে যে, আমরা মসীহের সংগে অংশীদার হয়েছি। 15একটু আগে বলা হয়েছে,

আহা, আজ যদি তোমরা তাঁর কথায় কান দাও!
তিনি বলেছেন, “তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত
তোমাদের দিল তোমরা কঠিন কোরো না।”

16কারা আল্লাহ্‌র কথা শুনেও তাঁকে বিরক্ত করেছিল? তারা কি সেই সব লোক নয় যাদের মূসা মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন? 17আর চল্লিশ বছর ধরে আল্লাহ্‌কাদের উপর বিরক্ত ছিলেন? তারা কি সেই সব লোক নয় যারা গুনাহ্‌করেছিল এবং যাদের লাশ মরুভূমিতে পড়ে ছিল? 18আর কাদের কাছেই বা আল্লাহ্‌কসম খেয়ে বলেছিলেন যে, তারা তাঁর দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যেতে পারবে না? তারা কি সেই সব লোক নয় যারা তাঁর কথায় ঈমান না এনে অমান্য করেছিল? 19এতে দেখা যায় যে, তাদের ঈমান না আনবার জন্যই তারা আল্লাহ্‌র দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যেতে পারে নি।